পছন্দপুরাণ : ১টি বানানভুলভিত্তিক পুনরাধুনিক ক্-ক্-কবিতা
।।
০ মাঠে ফেটে যাচ্ছে
পছন্দের আওয়াজ। ১টা আকাশ তার সূর্যকে
অন্যের পছন্দের জায়গায় রাখছে না। ফুলের
বুক থেকে উঠে আসছে
ভোমরাকে শেয়ার করার শব্দ। সেই শব্দকে
বিশ্বাস করতে করতে
বিশ্বাস করতে করতে অনুপম মুখোপাধ্যায়ের ক্-কবিতা
লিখছে অনুমপ
মুপোখাধ্যায়। শাক উল্টে কাশ হয়ে যাচ্ছে। আর রশৎকালীন জ্যোৎস্নার
চিন্তাভাবনাগুলো না-ধুয়ে ওর পোঁদ কাঁসা
পিটিয়ে যাচ্ছে
।।
আমরা ঠিক
কতজন অনুমপকে চাটছি। ঠিক কতজন নমুঅপ
প্রেম মারাতে চাইছে। হাপাড়ে চড়তে চাইছে। মুসদ্রে
গা ভেজাচ্ছে। ওর গ্রাম শহরটার নাম লাটাঘ। অথবা টাঘাল। অথবা লাঘাট।
এই সবই ১-১টা জায়গা পছন্দ করার
ব্যাপার। আমি। মাইগ্রেন
পছন্দ করছি না। আমার বাড়ির পেছনে ১টা
কল্পনার পাহাড় রাখা হচ্ছে
।।
অন্ধকারে আগুন তার ইচ্ছেমতো আকারগুলোয় চাপছে। কখনও ডাঙার
কখনও সমুদ্রের ঘোটক। বাসনা করলে হ্রেষা। কামনা করলে
ঘোড়ার মুখ থেকেও জোরে বৃংহন। আলো শোনাচ্ছে। অন্ধকার
শুনছে। কিছু লোক হাঁটছে। লোক উল্টে কোল
হয়ে যাচ্ছে। কয়লা
জনজাতি শাড়িমাখা যোনিমণ্ডল। ইহলোক আর পরলোকের মধ্যে
পনুঅম মুখোপাধ্যায় মনুঅপ মুখার্জিকে পোড়াতে
চাইছে
রাধাচূড়ার শুকনো পাতা জ্বেলে
।।
বাগান থেকে। বোলতা আসছে। বাড়ি থেকে গলগল
জল ফেলার
আওয়াজ। ক্যানাফুল। রক্তমাখা ন্যাকড়ার
বণিক। কিছু দিনের
জন্য। কয়েক দিনের বন্য। চারদিকের রোদ শুষছে ভুল আকারের
গাছ। ঠিক উকারের কুজন। আকাস এর বেশি
ফাঁকা হচ্ছে না। তোমার
প্যান্টিকে শুকিয়ে ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো করে
আমরা রং বানাচ্ছি। আমাদের
বানান। ভুল। এই
।।
১টা চাঁদ তার সূর্যকে পছন্দের
জায়গায় পাচ্ছে না। দিনদুপরে জ্যোৎস্না
হওয়ার কথা। রাতদুপরে রোদ দোর হয়ে যাচ্ছে। পিসিএমের
পার্টি অফিস থেকে অন্ধকার সাপ্লাই দেওয়া
হচ্ছে নৃতমূলের নির্চাবনী
কার্যালয়কে। পনুঅম শুধু নিজেকে ভোট
দিচ্ছে। নিজের ছাড়া কারও
প্রচার করছে না। তার পোলিং বুথ ঐ ইটভাটার
পাশে। পোশাকি
কি কেউ স্কিন স্পেশালিস্ট হচ্ছে
।।
বাসন মাজার শব্দ থেকে কলতলা। চিনে নেওয়া যাচ্ছে। ক্-ক্-কবিতার
শব্দ থেকে ক্-ক্-কবিতার বই চেনা যাচ্ছে
না। ১টা হলুদ পাখি। পরম বিদুষী।
বাংলা ক্-কবিতার সে পালক রাখছে না। আমি
তার মাংসল চিত্রচোর প্রেমিক।
ক্যামেরা তাক করছি পূরিষের দিকে। ছবি।
ফ্রেম। আর জানালায়
ঝিকমিক করছে আধখাওয়া বাণিজ্যের ফালি।
ঠ্যাং ধরে মুচড়ে দিচ্ছি
নীল পাখির। আমি। রচম রাহামি
।।
ওর হাতে তোমার থুক্ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া
চুল। আলো পড়লে
খয়েরি। অন্ধকারে কালো। নির্জনতার ছায়া
ভেঙে
অন্ধ ১ বালক। আমার দোকানে। আমার রুটি ওর পছন্দ হচ্ছে
না। ডালিম। আমার নরম ওর পছন্দ হচ্ছে না। ডাঁসা। হাত বুলিয়ে
ফেলে দিচ্ছে ছুঁড়ে। আমার মুখের চামড়া ওর
ভালো লাগছে খুব। চুমু খাচ্ছে
ব্রণ বাঁচিয়ে। গালে। কী নাম দেব ওকে। কী
নাম। কী নাম। অনুপম খোরশেদ। তুমি
মুচু মুচু গোছল কর নাই
।।
(চিত্রঋণ : সাইলেন্স/ মহসিন মখমলবাফ)
চমৎকার
ReplyDeleteআবারও কিছুটা জায়গা বদল। আবারও নতুন অনুপম।
ReplyDeleteঅনুপম !
অনুপম !
'মাংসাল চিত্রচোর প্রেমিক'
এই জার্নিটিও দুর্দান্ত, উপভোগ্য! আসন্ন ধারাবাহিকতা উপরে দৃষ্টি পাতিয়ে রাখছি
ভালো লেগেছে। শব্দ খেলাও (নাকি লেখাও) অনুপমীয়। নবভাষ্যের এই নাছোড় দৌড় চলতে থাকুক।
ReplyDeleteচুমু আবার ব্রণ বাঁচিয়ে দেওয়া যায় নাকি? ওটা চুমুই নয় তবে।... @অভিষেক
ReplyDeleteএ লেখা সর্বতোভাবে ''তোমার''। সেলাম, স্বাগতম এই নতুনে। অর্জনে।
ReplyDeleteযে চিন্তাটা মাথায় আসছে সেটা বলি, কবিতাটা পাঠকের হাতে যখন যাচ্ছে তখন লেখক সত্ত্বার (কর্তার) মৃত্যু কি সম্ভব হচ্ছে এ লেখায়? যেখান থেকে পাঠকের জন্ম স্মভব। হয়তো এ প্রশ্নটা পরে আর থাকবে না। হয়তো ধীরে এবং ক্রমশ শুধুমাত্র পাঠক হিসেবে আমারই (বা অন্য কারুর) অস্তিত্ব থাকবে এ লেখায়।
ল্যাঙ্গুয়েজ অফ কমিউনিকেশন নিয়ে অসাধারণ খিল্লি, এই বাঁকটা আরও চওড়া হোক। তুখোড়।
ভালো লাগলো দাদা,শব্দের খেলায় আপনার সৃষ্টি অতুলনীয়~ আপনি তো আমার জানাশোনা সেরা সম্পাদকও...
ReplyDeleteসাব্বাস... উলটে পালটে দেওয়া তো একদম।
ReplyDeleteমুগ্ধ হলাম | আগের লেখা গুলোর রেশ থেকে নতুন …আবারও নতুন বাক |
ReplyDelete♥
ReplyDeleteহ্যাঁ, বাঁক নিয়েছে ।
ReplyDeleteবাসন মাজার শব্দ পেলাম...
ReplyDeleteতোমার লেখা থেকে আমি সবসময় শিখি। শব্দের খেলায় তোমার সঙ্গী হয়ে গেলাম।
ReplyDeleteএটা তুমি ছাড়া আর কেউ লিখতে পারত না, যেমন Django Unchained হত না Tarantino সাহেব ছাড়া...
ReplyDeleteএকটা ব্রেক ছিলো । একটা গ্যাপ
ReplyDeleteতারপর স্বমহিমায় একদম তালগাছ
ঝড়
উপরে ফেলতে পারে না
তবে পড়ার আগে কবির ইতিহাস হালকা ইতিহাস
জানতেই হবে । না হলে
বোঝা যাবে না
আমরা ঠিক কতজন অনুমপকে চাটছি। ঠিক কতজন নমুঅপ
প্রেম মারাতে চাইছে। হাপাড়ে চড়তে চাইছে। মুসদ্রে......
চেয়েছিলাম । পেয়েছি
এক্কেবারে অন্যরকম। কবিতা ও সম্পাদকীয় ভালো লাগলো
ReplyDeleteঅসামান্য লেখনীর পরিচয়, অনুমপ, সরি অনুপম। এমন কবিতা আমি ইহজীবনে পড়িনি। বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম পুরোটা প'ড়ে। এরকম কবিতাও যে রচনা করা যায় তা তুমিই প্রথম দেখালে। সাবাস !
ReplyDeleteKhub valo ....asadharon....erokom ekta kosish 2012 te keu korechilo...nivrite...
ReplyDeleteOvinobo!!! Ononno...
ReplyDeleteবাহ্ দাদা । আবারও শিখলাম । অনন্য ।
ReplyDeleteBest so far
ReplyDeleteঅসামান্য
ReplyDeleteঅনুপম।আর কিছু বলার নেই।
ReplyDeleteকিছু বাক্প্রতিমা সত্যিই সুন্দর
ReplyDeleteহেব্বি। ফাস্কেলাস! মজে গেলাম। না, আজ কোনও খুঁত-খুঁত করছি না! কদিন জালে ছিলাম না, তাই দেরি হলো পড়তে।
ReplyDeleteকেন এতদিন নিজেকে অপেক্ষায় রাখিয়েছিলাম জানিনা, যেদিন খুব অন্যরকমে আবেগ আসবে মনে সেদিন পড়ব বলে, সেলাম পুনরাধুনিক, সেলাম অনুপাম দা।
ReplyDelete