।। সাহিত্যিকের
সঙ্গে তাঁর পাঠকের সরাসরি সাক্ষাৎ হোক,
এটা প্রাতিষ্ঠানিক প্রতাপশালীরা চান না। তাই তাঁরা ইন্টারনেটে কবিতাচর্চার এই
স্বর্ণযুগ নিয়ে উদ্বিগ্ন। এঁরা সাহিত্যিক আর পাঠকের মধ্যে মিডলম্যান বা দালাল বা
ফড়ে হয়ে থাকেন। যত বড় প্রতিষ্ঠান, তত বড় এজেন্সি। এঁরা ততদিন নিরাপদে থাকবেন,
যতদিন পত্রিকাগুলোই নির্ণয় করে দেবে কোন লেখা পাঠকের সামনে আসবে, আর কোনটাকে মুছে
দেওয়া হবে। কিছু লেখক এটাকে এনজয় করেন। তাঁরা কি জানেন ‘কলকে’ পাওয়া যায় গাঁজার
আড্ডায়, আর ‘পাত্তা’ পাওয়া যায় জুয়ার আসরে? দেয়ার ইজ নো ফ্রি লাঞ্চ। এই
আন্তর্জালের যুগে সাহিত্যিক আর পাঠকের মধ্যে কোনো দেওয়াল বা মাধ্যম থাকছে না। লেখক
আর পাঠক দু-জন মানুষ হিসেবে সরাসরি সংলাপে আসছেন। এখানে
অবশ্যই সেই পাঠকের কথা বলছি না, যিনি দেড় ইঞ্চির কবিতার জন্য দেড় সেকেন্ড সময় এবং
একটি like ব্যয় করেন।
প্রকৃত সাহিত্যপাঠ শেষ অবধি দু-জন মানুষের নিভৃতে আলাপ ছাড়া তো কিছু নয়- একজন হলেন
লেখক, আরেকজন তাঁর পাঠক। এটাই পুনরাধুনিকের লক্ষ্য। সাহিত্যের দালালি নিপাত যাক।
প্রতাপশালী পত্রিকারা দূর হটো। আমি সেদিনের অপেক্ষায় আছি যেদিন ‘বাক্’-এর প্রয়োজন
ফুরোবে।।