জেনুইন জকি_পেরেক ও কফিন পর্ব
ধৈর্য
যথেচ্ছ ব্যবহার করার নয়, অব্যবহৃত তার কিছুটা সময় এই অক্ষরগুলো আর জকি’কে দেবার
জন্য ধন্যবাদ। কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি আত্মহত্যা ঘটতে চলেছে, চলেছে একটি পেরেক
প্রিয়তম কফিনের ডালায়, তার শাখা নেই কোনো... যেমন অশাখ ঘোড়াটি সরিয়ে নেবে নিজেকে
জকি থেকে, ততটাই ঝুলন্ত দেখা যাবে জকিটির জিভ... অথচ আপনি ধৈর্য ধরছেন, চেয়ার
কিংবা কফিকাপ অথবা গ্লাসও আষ্টেপৃষ্টে, আবার সাহসী হয়ে কখনওসখনও লিঙ্গও... আপনি
ধরতে পারছেন কি ঘটতে চলেছে, আপনি শয়তানের মত দেখতে চলেছেন একটি রুদ্ধদ্বার মৃত্যু,
যেখানে গ্লাসের গায়ে উল্লাসের সময়ও যতটা বাষ্প জমে, আপনি জমতে দিচ্ছেন না তা’ও,
অতএব...
৮
তুমি
বাহুমূলের গোড়ায় পোঁতো ওই ঝোপ যা
তার দিকে থাকা হয় তাকিয়ে কিছু, সেই
নিড়েন দেওয়া ও তুলে আনাপ্রিয় মাটির তলা এবং
কিছু অপ্রিয় মাটির ওপরে আকরিকহীন
এই আলগা কাজটুকুতেই চিনি তোমাকে
তার দিকে থাকা হয় তাকিয়ে কিছু, সেই
নিড়েন দেওয়া ও তুলে আনাপ্রিয় মাটির তলা এবং
কিছু অপ্রিয় মাটির ওপরে আকরিকহীন
এই আলগা কাজটুকুতেই চিনি তোমাকে
ওহ্
শর্করা...
মুখের
তলায় থাকা হয় তোমার, করোটিরও তলায়
ছায়া হয়েও
থাকা হয় বেঁধেছেঁদে
এমনকী জমাট চাপ চাপ কালশিটের মধ্যেও, আমি সে কোণেই
ফিরিয়ে রাখি যাবতীয় নেশাদায়ক চোখ ও মন
এমনকী জমাট চাপ চাপ কালশিটের মধ্যেও, আমি সে কোণেই
ফিরিয়ে রাখি যাবতীয় নেশাদায়ক চোখ ও মন
যদিও
দ্রাঘিমা বরাবর তুমি পাতো ব-দ্বীপ
আর তার নরম মাটিতে আটকে রাখো অক্সিজেন
আর তার নরম মাটিতে আটকে রাখো অক্সিজেন
নাইট্রোজেন
আর বুদবুদের মতো অর্বুদ ফুটে ছুটে ওঠে
ঝুর ঝুর বেরিয়ে আসে কাঁকড়া
মণি আমার চেয়ে থাকে সেদিকই
ঝুর ঝুর বেরিয়ে আসে কাঁকড়া
মণি আমার চেয়ে থাকে সেদিকই
তুমি ঝোপ থেকে বাহুডোরে বাঁধো মৌখিক ধারণা
আর ফিরে ফিরে যাও বাহুমূলের গোড়ায়
সেই অপ্রিয় মাটির ওপরে অথচ প্রিয় মাটির তলায়
আর ফিরে ফিরে যাও বাহুমূলের গোড়ায়
সেই অপ্রিয় মাটির ওপরে অথচ প্রিয় মাটির তলায়
৯
সুতরাং ওই
কাঠের দরজা খোলা
তার পেরেকও হয়ে গেলে নিস্পৃহ
একটা গাছের কথাই বলে, যদিও
কাছাকাছি সব গাছেই, ঘাসেতেই
ঘোড়াটির জিভ কামড়ে রয়েছে পাতার মতই
তার পেরেকও হয়ে গেলে নিস্পৃহ
একটা গাছের কথাই বলে, যদিও
কাছাকাছি সব গাছেই, ঘাসেতেই
ঘোড়াটির জিভ কামড়ে রয়েছে পাতার মতই
আর কোনো ডাকের বাইরে সাজছে মেয়েটি
তার পোশাক ছাড়িয়ে সাজাচ্ছে জকিটি যখন
এক একটা জিভ খসে পড়ছে ঘোড়াটির,
নাল ভেঙে পড়ছে ঝর্ণার মতোও খানিক
তার পোশাক ছাড়িয়ে সাজাচ্ছে জকিটি যখন
এক একটা জিভ খসে পড়ছে ঘোড়াটির,
নাল ভেঙে পড়ছে ঝর্ণার মতোও খানিক
অথচ শব্দ হচ্ছে না, ঘোড়াটির
জিভ থেকে
গোলাপী পাতায় ভাষা হচ্ছে না তখন
শুধু দুলছে বিনা হাওয়ায় স্পৃহাহীন গাছগুলো
গোলাপী পাতায় ভাষা হচ্ছে না তখন
শুধু দুলছে বিনা হাওয়ায় স্পৃহাহীন গাছগুলো
১০
ঝুলন্ত জকিটিকে দেখে ঘোড়াটি
তার কালো খাঁচায় মুখ সে ঢুকিয়ে দেয় তার
কোনো ফেব্রুয়ারীতে
তার কালো খাঁচায় মুখ সে ঢুকিয়ে দেয় তার
কোনো ফেব্রুয়ারীতে
আর চিৎকার করে ডাকে চোখ দিয়ে
সেই ঘুড়ীটিকে, সমগ্র শরীর দিয়ে ওই মেয়েটিকে
ডাকে ঘোড়াটি
সেই ঘুড়ীটিকে, সমগ্র শরীর দিয়ে ওই মেয়েটিকে
ডাকে ঘোড়াটি
তার অন্ধকার রোগ থেকে দেখে
মেয়েটিও বসে আছে ঝুলন্ত জকিটির খাঁচায়
আর ডাকে অবিরাম ছেদহীন
মেয়েটিও বসে আছে ঝুলন্ত জকিটির খাঁচায়
আর ডাকে অবিরাম ছেদহীন
যদিও কোনো অন্ধকার নেই
মেয়েটি আর ঘোড়াটি সাজায় যখন খাঁচা
জকিটি ঝুলন্ত দেখে নেয়
মেয়েটি আর ঘোড়াটি সাজায় যখন খাঁচা
জকিটি ঝুলন্ত দেখে নেয়
দোলনকাল স্তব্ধ করছে কোনো পেণ্ডুলাম
(চিত্রঋণ : মকবুল ফিদা হুসেন)
ভালো লেগেছে,,,,,,,,
ReplyDeleteভালো লাগল শুভ। তোমার নিজস্ব ভাষা তৈরি হয়ে গেছে।
ReplyDelete"যদিও কোনো অন্ধকার নেই"...
ReplyDeleteথ্যাংকস
Delete