বিষাদের ডাকনাম অরণ্য
সবুজ
পাতার নাম ধরে ডাকতেই একটা ঘন অরণ্য চুপচাপ সামনে এসে দাঁড়ালো৷ তার কাছেই চেয়ে
নিয়েছি আকন্দের বীজ৷ শিকড় কুড়িয়ে নেয়ার সময় করতলে উঠে এসেছিল বিষাদের মতিচূর৷
তখনও আমার নয়ের ঘরের নামতা পাঠের কৈশোর৷ জেনেছিলাম, এ ঘন অরণ্য আমার মা হারানো দুধভাই… এ অরণ্য
বিষাদের ডাকনাম
এই যে ঝাপুরঝুপুর গহন অরণ্য
চাঁদের আলোয় অমরাবতী এক রাত্রিপুর
এখানে দলবেধে শেয়ালের ডাক
এখানে হাওয়ায় হাততালি
ফু দিলেই ফু-মন্তর..
এখানে প্রবল ফ্লাশব্যাকে রুমালের পতন
পতনের সুতোয় সুতোয়
মানুষের ঘাম, মহুয়ার মৌতাত
অনামী এ অরণ্যে নীল ফ্রেমে বাঁধাই আমার মায়ের আঁচল ৷ এখানে বাতাসের মন্ত্রে পীত সবুজের ছন্দ দোলে… ঢিলেঢালা ভিতরবাড়িতে একটা স্কুল পালানো পাখির হাজার দুপুর
শহরতলীর ওপারে
একটা সবুজ পাতা
একটা শুনসান অরণ্য
কিছুটা আড়াল… ঈশ্বরের মতন নিবার্সন
আর আমি তাকে পাঠ করি দ্বিতীয়বারের মতো প্রগাঢ় বিপন্নতায়
(চিত্রঋণ : লার্স ভন ট্রায়ার/ মেলাঙ্কোলিয়া)
চমৎকার কবিতা।
ReplyDeleteবেশ অভিনবত্বের চমক পেলাম,,,,,,,,,, কবিনীকে শুভ্রতা জানাই
ReplyDeleteবেশ অভিনবত্বের চমক পেলাম,,,,,,,,,, কবিনীকে শুভ্রতা জানাই
ReplyDeleteবরাবরের মতই মুগ্ধ পাঠ!
ReplyDeleteভালো
ReplyDelete